Social Icons

NEWS


SPGRC-Bangladesh 3-day council session ends in Rangpur

 September 25, 2022


SPGRC-Bangladesh, an organization of Urdu speakers living in Bangladesh at the end of the 3-day long 17th council session, announced the dissolution of SPGRC-Bangladesh central committee and all the branch committees across Bangladesh. Shaukat Ali and general secretary Harun-or-Rashid were nominated and approved by the 35-member central committee.

Also, a convening committee consisting of 5 members was formed for the reorganization of the branch committees. It is directed to form a full committee within a week.

This information was given by the former general secretary of the executive council M. Former Deputy General Secretary Harun-or-Rashid on behalf of Shaukat Ali.

Haroon-or-Rashid said in a press conference that the 17th council session was held at the Rangpur Zilla Parishad Community Center on September 23. Bangladesh Awami League president and former LGED state minister Adv. Jahangir Kabir Nanak and other leaders. The second and third days of the session were held on September 24 and 25 at Pansi Community Centre and ended on 25 September 2022 Sunday.

In this 3-day council session, the leading representatives of the organization at the local level in 13 districts of Bangladesh participated. The leaders who participated in the council took several decisions regarding the determination of future organizational plans and activities with the aim of ensuring the basic rights of Urdu speakers living in Bangladesh and recognizing them as citizens.

He also said in the press conference that Hon'ble Prime Minister Jannetri Sheikh Hasina, during her visit to the Ministry of Disaster Management and Relief on 06-11-2021, directed Biharis living in camps to be shifted to convenient places considering the unhealthy environment, housing facilities, security risks and humanitarian issues. On 18/04/2015 he assured the meeting with the delegation of SPGRC-Bangladesh on full housing of Biharis and most recently on 06/11/2022 he expressed his determination to improve the quality of life of Biharis in an event Ganobhaban with Dhaka North City Corporation.

In the light of his hope, we want recognition of citizenship, civil privileges (fundamental rights). The resettlement process with self-respect should be started quickly with confirmation. Until Biharis are fully settled in Bangladesh, the Prime Minister's father, the world-renowned leader Bangabandhu Shaheed Sheikh Mujbir Rahman, called for maintaining all the facilities for the Biharis, including electricity, water and security in camps.

In this press conference. Also, in all the districts including Khalishpur (Khulna), Dhaka, Chittagong, Rajshahi, those who migrated from India after the partition of the country, housing was constructed and allocated. Which came under the purview of the government as an abandoned agreement after the independence of Bangladesh.

All those housing units are still occupied by descendants (children, brothers, sisters or other family members) of the original allottees. A special request is made to bring the houses of that housing under Bihari full housing program by allocating them for free or at low cost. All the camps across the country which are under the jurisdiction of Bangladesh Railway, KDA, Housing Estate, City Corporation, Union Parishad and other administrations are urged not to evacuate all the camps.

It was decided to submit/submit the decisions taken in the 17th Council immediately to the government and if no assurance is received from the government within 15 days of the submission, then SPGRC-Bangladesh will take more effective and strong movement.


https://dailycountrytodaybd.com/public/story/spgrc-bangladesh-3-day-council-session-ends-in-rangpur



সাংবাদিক সম্মেলনে এসপিজিআরসির নেতৃবৃন্দ : অবাঙালিদেরকে দ্রুত পুনর্বাসন করা হোক এবং যাবতীয় উচ্ছেদ প্রক্রিয়া বন্ধ রাখা হোক 

মঙ্গলবার, ০২ অক্টোবর ২০১৮,
অবাঙালিদের সংগঠন এসপিজিআর সি’র উদ্যোগে আজ ২ অক্টোবর মঙ্গলবার সকাল ১১টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে অবাঙালিদের বিভিন্ন দাবী-দাওয়া নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে সংগঠনটি। সাংবাদিক সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের কেন্দ্রেীয় সভাপতি আব্দুল জব্বার খান। 
অনুষ্ঠানে আব্দুল জব্বার খান বলেন, ‘১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে চট্টগ্রামের হালিশহর, ফিরোজশাহ, শেরশাহ, সর্দার বাহাদুর নগর, হামজারবাগ, রউফাবাদ ও শুলকবহরসহ মোট ৭টি অবাঙালিদের ক্যাম্পে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার বিনা মূল্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে আসছিল। কিন্তু গত ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পূর্বে কোন নোটিশ দেওয়া ছাড়াই বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড পাহাড়তলী ফিরোজশাহ কলোনীর অবাঙালিদের ক্যাম্পের ১৩টি পরিবারের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে। 
এদিকে গত ১৪এপ্রিল, ২০১৫ অবাঙালিদের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন এসপিজিআরসি’র ২০ সদস্য বিশিষ্ট একটি প্রতিনিধি দল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে গণভবনে সাক্ষাৎ করলে সেখানে তিনি অবাঙালিদের দ্রুত পুনর্বাসন করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন। আর সাথে সাথে সংলিষ্ট মন্ত্রণালয়কে কার্যকরি পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য নির্দেশও দেন। 
তারই ধারাবাহিকতায় গত ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮ গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন তাঁর এক বক্তব্যে সংসদকে জানান, ঢাকা মোহাম্মদপুরের বিহারীদের জন্য মোট ৬০৩২টি এবং চট্টগ্রাম হালিশহরের বিহারীদের জন্য মোট ২৮৮ টি ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হচ্ছে। এই উদ্যোগের জন্য সারাদেশে অবস্থানরত প্রায় ৩লক্ষাধিক অবাঙালি ও অবাঙালিদের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন এসপিজিআরসি বর্তমান সরকার ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এবং দপ্তরকে সাধুবাদ জানাই। কিন্তু আমাদের প্রশ্ন হচ্ছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় আদৌ অবাঙালিদের প্রতিনিধিত্বকারি সংগঠন এসপিজিআরসি ও এর কোন নেতৃবৃন্দের সাথে এ ব্যাপারে কোন আলাপ-আলোচনা বা যোগাযোগ করেন নাই। 
আমরা অনুরোধ করব। পুনর্বাসনের এই প্রক্রিয়ায় সরকার এসপিজিআরসিকে সাথে নিয়ে কাজ করবে বলে আমরা প্রত্যাশা করি। আমরা আরো বলতে চাই পূনর্বাসন প্রক্রিয়াকে সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ করতে হলে এসপিজিআরসি সরকারের এই প্রক্রিয়ার সাথে অন্তর্ভুক্ত থাকাটা বাঞ্চনীয়। 
এদিকে দীর্ঘদিন ধরে সৌদিআরবের পবিত্র হজ্বের কোরবানীর গোশত ক্যাম্পে বিতরণ করা হলেও গত কয়েক বছর যাবত সৌদিআরবের পবিত্র হজ্বের কোরবানীর মাংস ক্যাম্প সমুহে বিতরণ বন্ধ রয়েছে। এটা পুনরায় শুরু করা হোক ।
যে সব ক্যাম্প এর অবস্থা জরাজীর্ণ ও ঝুঁিকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে সেগুলো দ্রুত মেরামতের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। এর মধ্যে উল্লেখ যোগ্য ক্যাম্পগুলোর মধ্যে হচ্ছে ফিরোজশাহ স্কুল ক্যাম্প ও সরবাহাদুর নগর স্কুল ক্যাম্প ।
আমরা সরকারকে অনুরোধ করব। পুনর্বাসন প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত ক্যাম্পে সব ধরনের উচ্ছেদ প্রক্রিয়া ও বিদ্যুৎ সংযোগ প্রক্রিয়া স্থগিত রাখা হোক ।
এখানে আরো উল্লেখ্য যে, ক্যাম্পে বসবাসকারীদের মধ্যে ৯৫ ভাগ পরিবার এখনো দারিদ্রসীমার নীচে বসবাস করে। তারা কোনভাবে দিনে আনে দিনে খায়। এধরনের উচ্ছেদ অব্যাহত থাকলে এসব পরিবারগুলোর অবস্থা বিপন্ন হতে পারে। বঞ্চিত হবে স্বাভাবিক জীবন যাপন থেকে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, এম শওকত আলী কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এসপিজিআরসি, সোহেল আক্তার খান সাধারণ সম্পাদক এস পি জি আর সি চট্টগ্রাম। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, সোহেল আশরাফী, মোহাম্মদ ইকবাল, পারভেজ আলম, আব্দুল কাইয়ুম, রিয়াজ আহম্মদ টুলু, আব্দুল কাদের, আজিজ রায়হান, তানভির আহম্মদ, আজগর আলী প্রমুখ ।

১০ বিহারি হত্যা : 

আগুন দেয়ার আগে ঘরে তালা দেয় পুলিশ!

ডেস্ক রিপোর্ট

মিরপুরে বিহারি ক্যাম্পে আগুন দেয়ার আগে তাদের ঘরে তালা মেরেছিল পুলিশ। পরে পুলিশের সঙ্গেই ঢোকে সাদা পোশাকের অস্ত্রধারী ক্যাডাররা। এরপর শুরু হয় মুহুর্মুহু গুলি টিয়ার শেল নিক্ষেপ আর পেট্রোল ঢেলে ঘরে ঘরে আগুন দেয়ার ঘটনা। বিহারি পল্লীর কয়েকজন বাসিন্দা এ দৃশ্য দেখে তাদের স্বজনদের বাঁচাতে তালা ভাঙার চেষ্টা করলে তাদেরও গুলি করা হয়। এ সময় বিহারি পল্লীর ভেতর থেকে আতঙ্কগ্রস্ত মানুষ বেরিয়ে যাবার চেষ্টা করলে তাদের জোরপূর্বক আটকে রেখে মারধর করে গুলি ছুঁড়তে ছুঁড়তে সাদা পোশাকের অস্ত্রধারীরা চলে যায়।

এদিকে মিরপুর কালশীর ওই নির্মম হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে ৭২ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে বিহারিরা। মঙ্গলবার মোহাম্মদপুর আদাবর সুচনা কমিউনিটি সেন্টারে পুলিশ ও বিহারিদের মধ্যে সমঝোতা বৈঠকে ৭ দফা দাবিসহ এ আল্টিমেটাম দেয়া হয়। তারা জানিয়েছে, এই সময়ের মধ্যে কোন সুরাহা না হলে নতুন কর্মসূচি দেয়া হবে। বৈঠকে স্থানীয় সংসদ সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারের বিষয়ে একমত হয়েছেন। তিনি বিহারিদের সাত দফা দাবি সরকারের উচ্চ পর্যায়ে জানানোর প্রতিশ্রুতি দেন। এদিকে বৈঠকে পুলিশ বিহারিদের কোন বিশৃঙ্খলা না করে শন্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালনের অনুমতি দিয়েছে।
এদিকে রাজধানীর মিরপুরে বিহারিদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে পরিবহন শ্রমিকদের। মঙ্গলবার বেলা দেড়টা থেকে সোয়া ২টা পর্যন্ত মিরপুর ১১ নম্বর সড়কে থেমে থেমে এ সংঘর্ষ হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বিহারি ক্যাম্পের প্রায় শতাধিক বাসিন্দা ক্যাম্পে আগুন ও গুলিতে নিহত হওয়ার প্রতিবাদে ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের গ্রেফতার করে বিচারের দাবিতে মিরপুর ১১ নম্বর সড়কে বিক্ষোভ করে। এ সময় তারা কয়েকটি গাড়ি ভাংচুর করে। একপর্যায়ে পরিবহন শ্রমিকেরা একজোট হয়ে বিহারিদের ধাওয়া করেন। এরপর দুই পক্ষে থেমে থেমে সংঘর্ষ চলে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এতে কেউ আহত হওয়ার তাত্ক্ষণিক কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।
আগুন দেয়ার আগে তাদের ঘরে তালা মেরেছিল পুলিশ!
মিরপুরের কালশী এলাকার বিহারি পল্লীতে গুলি করে ও আগুনে পুড়িয়ে ১০ বিহারিকে হত্যার ঘটনার লোমহর্ষক সব বর্ণনা বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে। এ নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত বিহারিদের মাঝে ক্ষোভ বাড়ছেই। তা সত্ত্বেও এখন পর্যন্ত কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
মঙ্গলবার ওই নির্মম হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচনে সাংবাদিকরা মিরপুরের বিহারী পল্লীতে গেলে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো জানান, ঘটনার দিন সকালে বিহারী পল্লীতে আগুন দেয়ার আগে তাদের ঘরে তালা মারে পুলিশ। পরে পুলিশের সঙ্গেই ঢোকে সাদা পোশাকের অস্ত্রধারী ক্যাডাররা। এরপর শুরু হয় মুহুর্মুহু গুলি টিয়ার শেল নিক্ষেপ আর পেট্রোল ঢেলে ঘরে ঘরে আগুন দেয়ার ঘটনা।
পল্লীর কয়েকজন বাসিন্দা এ দৃশ্য দেখে তাদের স্বজনদের বাঁচাতে তালা ভাঙ্গার চেষ্টা করলে তাদেরও গুলি করা হয়। এ সময় পল্লীর ভেতর থেকে আতঙ্কগ্রস্ত মানুষ বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাদের জোর করে আটকে রেখে মারধর করে গুলি ছুঁড়তে ছুঁড়তে সাদা পোশাকের অস্ত্রধারীরা চলে যায়।
বিহারি পল্লীর বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ইলিয়াস মোল্যা মসজিদে দাঁড়িয়ে ওয়াদা করেছিলেন তাদের পল্লীতে গ্যাস, পানি বিদ্যুত্সহ সকল আবাসন সুবিধা দেবেন। স্থায়ীভাবে বসবাসের ব্যবস্থা করবেন। কিন্তু তা কেবল ভোট আদায়ের কৌশল ছিল মাত্র। ওই নির্বাচনের পর তার দেখা না মিললেও তার ক্যাডাররা গিয়েছিলেন ঘটনার দু’দিন আগে বিহারী পল্লীতে, পাশেই তাদের তৈরি রাজু বস্তিতে বিদ্যুত্ সংযোগের জন্য। এতে রাজি না হওয়ায় বিহারিদের উচ্ছেদ ও ব্যাপারটা দেখে নেয়ার হুমকি দেয় ওই ক্যাডাররা। পরে ভোররাতে পুলিশের সঙ্গে ঢুকে ঘরে আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে মারে এক পরিবারের ৯ জনকে। এছাড়া একজন গুলিতে নিহত হয়। ওই ঘটনার পর থেকে পল্লীর বেশক’জন যুবক নিখোঁজ রয়েছে বলে অভিযোগ করেন বাসিন্দারা।

এস পি জি আর সি, বিহারি সম্প্রদায় এখনো অবহেলিত 

সৈয়দ আবু মকসুদ

রমজানের ঈদ গেলো, গত হলো কোরবানির ঈদও তবু বন্দর নগরী চট্টগ্রামের ঝাউতলা বিহারি ক্যাম্পে চলছে শ্রমিকদের কাপড়ে কারচুপির কাজ অবিরাম। ছোট অন্ধকার ঘর। পোলেস্তারা খসে পড়ছে। শ্রী নেই ঘরের বাইরে-ভেতরে। স্যাঁতসেঁতে মেঝেতে পাতা কাঠের ফ্রেম। পাশে লাউড স্পিকারে চলছে উর্দু গান। কাঠের ফ্রেমের চার মাথায় আটকানো শাড়ি ও থ্রিপিস। আর সে ঘরেরই শিল্পীরা সুনিপুণ দক্ষতায় করে চলেছেন কারচুপির কাজ। একটা একটা করে পুঁতি, জরির সুতা আর চুমকি দিয়ে শাড়ি ও জামায় নকশা করছেন কারিগরেরা। কখনো নিজেদের পছন্দে, আবার কখনো বা ক্রেতার পছন্দে। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে আটকে পড়া চট্টগ্রামের বিহারিদের ঝাউতলা ক্যাম্পে গেলে শত শত পরিবারে দেখা যাবে এমন দৃশ্য। শুধু ঝাউতলাই নয় এমন দৃশ্য নগরীর বায়েজিদ বোস্তামি, মিয়াখান নগর, ইয়াকুব নগর, পাথরঘাটা, এনায়েত বাজারসহ আরো বেশকিছু জায়গায় দেখতে পাওয়া যায়।

তবুও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির এই যুগে তাল মিলাতে গিয়ে পুরনো পেশা বদলে নুতন পেশায় যেতে চায় বিহারি তরুণরা। নরসুন্দরের কাজ (নাপিতের কাজ), শাড়ির কারচুপির কাজ, বেনারসি শাড়ি তৈরি, জরির কাজ, কাবাব তৈরি, জুতা তৈরি, বাসের হেলপারি, কন্ডাক্টরি কিংবা গাড়ি চালানোর কাজ বাদ দিয়ে তারা নতুন কাজ করতে আগ্রহী এখন। যে কাজে আয় বেশি সেই কাজ করে ক্যাম্পের বাইরে বাসাভাড়া নিয়ে এখন জীবনমানের উন্নতি ঘটাতে চায় তারা। বন্দর নগরী চট্টগ্রামসহ দেশের ১৩ জেলার ৭৬টি ক্যাম্পের অধিকাংশ বাসিন্দা এসব পেশায় নিয়োজিত। তবে চট্টগ্রামের ক্যাম্পগুলোর বেশির ভাগ তরুণ-তরুণী পোশাক কারখানায় কাজ করে বলে জানা গেছে।
ঝাউতলাস্থ ইকরার আমিরের সাথে কথা বলতে গেলে তিনি জানান, তিনি পেশায় একজন নরসুন্দর। কাজ করেন নগরীর টাইগারপাসস্থ একটি সেলুনে। তার দুটি সন্তান। ক্যাম্প ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। মাস কয়েক যেতে না যেতেই ভাড়া বাসা ছেড়ে আবার তাকে পুরনো ক্যাম্পেই ফিরতে হয়েছে। বললেন, যে টাকা আয় করি তা দিয়ে বাসা ভাড়া করে থাকতে পারিনি। ব্যবসা করতে পারলে ক্যাম্পে আর ফিরতাম না। কিন্তু করব কিভাবে। পুঁজি নেই যে! তিনি জানান, তাদের ক্যাম্পে দেড় শতাধিক পরিবারে আছে ২ হাজারের মতো সদস্য। আগের চেয়ে বর্তমানে ক্যাম্পের অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলেও তাদের মূল সমস্যা এখনো দূর হয়নি। জানালেন, তাদের মধ্যে যাদের অবস্থা ভালো তারা ব্যবসা করে ভালোভাবে দিন কাটাচ্ছেন। শাড়ির কাজ সম্পর্কিত অধিকাংশ ব্যবসায়ী তাদের গোত্রের। অথচ পুঁজির অভাবে অনেকে চাইলেও কোনো ব্যবসা শুরু করতে পারছেন না।
ক্যাম্পের বাইরে গিয়ে অনেকে চাকরি, ব্যবসা করে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন অভিযোগ করলেন, ইপিজেডের অনেক কারখানায় বিহারিদের চাকরি দেয়া হয় না জাতীয় পরিচয়পত্র নেই বলে। ফলে চাইলেও এখানকার তরুণরা নতুন কোনো পেশায় যেতে পারছে না। তবে বিহারিদের নিয়ে কাজ করে এমন একটি সংগঠন সূত্রে ভিন্ন তথ্য পাওয়া গেল। বিহারি তরুণরা ক্যাম্পের বাইরের জীবনে যেতে চায় না। কারণ ক্যাম্পে থাকলে জাতিসংঘ, ওআইসি, রাবেতাসহ বিভিন্ন এনজিও থেকে সাহায্য সহযোগিতা পায়। বিদ্যুৎ, পানির বিল লাগে না, লাগে না বাসা ভাড়া। ক্যাম্পের বাইরে গেলে ওইসব সুবিধা পাওয়া যাবে না এমন আশঙ্কা থেকেও তারা বাইরে যেতে চায় না। ফলে যে তিমিরে তাদের জন্ম সেই তিমিরেই তারা থেকে যায়। যারা নিজেদের মর্যাদার কথা ভাবে, অল্পবিস্তর পড়াশোনা শেখে তারা চাকরিসহ অন্যান্য পেশায় চলে যাচ্ছে।
সূত্র মতে, মুক্তিযুদ্ধে বিহারিরা পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর পক্ষ অবলম্বন করে। বিহারিদের অনেকেই সে সময় যুদ্ধাপরাধে জড়িয়ে পড়ে এবং বাঙালি হত্যাযজ্ঞে অংশ নেয়। ফলে দেশ স্বাধীন হলে ওই বিহারিরা নিজেদের পাকিস্তানি দাবি করে সেদেশে প্রত্যাবাসনের প্রহর গুনতে থাকে। ১৯৭২ সালে প্রায় ৫ লাখ বিহারি পাকিস্তানে প্রত্যাবাসনের জন্য নিজেদের নাম নিবন্ধিত করে। তবে এর বাইরেও কয়েক লাখ বিহারি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে স্থায়ীভাবে বাংলাদেশে বসবাসের উদ্যোগ নেয়। তারই ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রাম শহরেও ক্যাম্পের বাইরে লক্ষাধিক বিহারি স্থায়ীভাবে বসবাস করছে। যারা সমাজের মূলধারায় মিশে গিয়ে আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে ভূমিকা রাখছে। বিহারিরা ভাঙা ভাঙা শব্দে বাংলাকে বুকে লালন করছে। এসব পরিবারের সন্তানরা বাংলায় লেখাপড়া করে দেশ-বিদেশে কর্মরত রয়েছে এবং শহরের প্রায় প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মেধা তালিকাতেও রয়েছে তারাই। আটকেপড়া বিহারি বাসিন্দারা জানান, শহরে আটকেপড়া বিহারি ক্যাম্পের ঝুপড়ি ঘরে বসবাসরত মানুষদের ইচ্ছেও তাদের সন্তানদের বাংলা ভাষার দিকে এগিয়ে নেয়ার। কিন্তু আর্থিক দৈন্যের কারণে অনেক পরিবার তাদের সন্তানদের স্কুলে পড়াতে পারছে না।
আটকেপড়া পাকিস্তানিদের একটি সূত্র মতে, বঙ্গবন্ধুর শাসনামলে পাকিস্তানে ১ লাখ ১৮ হাজার বিহারির প্রত্যাবাসন হয়েছে। ৭৫-এর পটপরিবর্তনের পর ওই প্রত্যাবাসন ধারা থেমে যায়। সেই থেকে বিহারিরা বন্দর নগরী চট্টগ্রাম, সৈয়দপুর, খুলনা, রংপুর ও ঢাকার বিভিন্ন ক্যাম্পে মানবেতর জীবনযাপন করছে। ১৯৯২ সালে পাকিস্তান ফিরে যেতে ইচ্ছুকদের খুঁজে বের করতে একটি জরিপ চালানো হয়। সে সময় পাকিস্তান সরকার ৩২৩ জনকে ফিরিয়ে নেয়ার পর আর কাউকেই ফিরিয়ে নেয়নি।
তবে এই আটকেপড়া পাকিস্তানি ক্যাম্পের ভোটাররা তথা বিহারি সম্প্রদায় জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনে বড় ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু সে অনুযায়ী তারা কোনো নাগরিক সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে না বলেই অনেকের অভিযোগ। আটকেপড়া পাকিস্তানিদের সমস্যা সম্পর্কে অধ্যক্ষ মো. আমজাদ হোসেন সরকার বলেন, ১৯৭১ সালের পর যার জন্ম তিনিও এখন বিয়ে করে ঘর-সংসার করছেন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাদের বন্ধন গড়ে উঠেছে বাংলাদেশে। গড়ে উঠেছে জীবিকার যোগসূত্র। বর্তমানে এ জনগোষ্ঠীর কেউই আর পাকিস্তান যেতে চায় না, সবাই বাংলাদেশে থাকতে চায়। তিনি বলেন, একটি এনজিও কোটি টাকা ব্যয়ে ক্যাম্পগুলোর স্যানিটেশন ব্যবস্থার উন্নয়নে কাজ করছে। তবে মানুষের মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে এবং চট্টগ্রাম তথা বাংলাদেশের আর্তসামাজিক প্রেক্ষাপটে তাদেরও নাগরিক সকল সুযোগ সুবিধা ভোগের অধিকার নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সকলেরই আন্তরিকতার সর্বোচ্চ দৃষ্টান্ত স্থাপন জরুরি বলেই মনে করেন সচেতন মহল।

দৈনিক সংবাদ 

কালশীর বিহারি পল্লীতে ফের সংঘর্ষ : মূল হোতারা ধরাছোঁয়ার বাইরে : নিরাপত্তাহীনতায় ৪শ' পরিবার

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক
ঢাকা বুধবার, ৪ আষাঢ় ১৪২১, ১৯ শাবান ১৪৩৫, ১৮ জুন ২০১৪


মিরপুর কালশীর বিহারি ক্যাম্পে হামলা এবং অগি্নসংযোগের ঘটনায় মূল হোতারা ধরা-ছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছে। গতকাল পর্যন্ত নেপথ্যে থাকা মূল হোতারা গ্রেফতার হয়নি। গতকাল সেখানে আবারও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। একের পর এক সহিংস ঘটনার কারণে শিশু-বৃদ্ধসহ ৪শ' পরিবার আতঙ্কে ভুগছে। ডিবির দাবি হামলাকারীদের চিহ্নিত করে তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। তাদের গ্রেফতার করা হবে।

অগি্নসংযোগ ও ১০ জনকে ঘরে তালা দিয়ে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা ৬ মামলায় ৩ হাজার ৭৫৪ জনকে আসামি করা হলেও ৪ দিনে মূল হামলাকারীদের পুলিশ গ্রেফতার করেনি। পরিকল্পিত এই ঘটনায় নিছক আতশবাজির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এর নেপথ্যে রয়েছে বিহারি ক্যাম্পের জায়গা দখল করে সেখানে বহুতল ভবন করা। হামলার ঘটনায় যুবলীগ নামধারী ক্যাডাররা জড়িত। এ কারণে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করছে না। উল্টো বিহারিদেরই গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে রিমান্ডে নিয়েছে। এ নিয়ে ক্যাম্পে বিরাজ করছে টানটান উত্তেজনা। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, এ অভিযোগ সত্য নয়। যারা হামলার সঙ্গে জড়িত তাদের গ্রেফতার করার চেষ্টা চলছে। এমনকি ঘটনার দিন ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়েছে বলেও দাবি করেছে পুলিশ। সেখান থেকে সাতজনকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। এদের মধ্যে চারজন বিহারি এবং তিনজন বাঙালি রয়েছে। বিহারিদের অভিযোগ, যারা হামলা চালিয়েছে তারা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এমনকি পুলিশের হাতে হামলার ভিডিও থাকলেও কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। যে পুলিশ সদস্যরা হামলায় যুবলীগ কর্মীদের সহায়তা করেছে তাদের বিরুদ্ধেও প্রশাসনিকভাবে এখনও কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।

এলাকাবাসী জানান, পবিত্র শবেবরাতে আতশবাজিকে কেন্দ্র করে মিরপুরের কালশীতে এলাকাবাসী, বিহারি ও পুলিশের মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষ ও আগুনে ১০ জনের মৃত্যুর নেপথ্যে আরও কিছু কারণ স্পষ্ট। এর মধ্যে নতুন বস্তিতে বিহারি ক্যাম্পের বিদ্যুৎ থেকে সংযোগ দেয়া, বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা, ক্যাম্পের নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা এবং বিহারিদের নামে বরাদ্দকৃত জমি দখল অন্যতম। এক্ষেত্রে একটি শক্তিশালী গ্রুপ কাজ করেছে। তারা জানান, কালাপানি ক্যাম্পের আরেক (মেইন সড়কের অপর পাড়ে) প্রান্তে প্রায় ৪শ' পরিবারের বসবাস। তিন দিন আগে হঠাৎ করে তাদের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়। এ সময় বিদ্যুৎ সংযোগের দাবি করলেও তা দেয়া হয়নি।

বিহারি ক্যাম্পের বাসিন্দা সুমন সংবাদকে বলেন, যারা হামলা করেছে তাদের ভিডিও আছে। তারা সবাই ইলিয়াস মোল্লার লোক এবং যুবলীগ কর্মী। পুলিশ হামলা চালানোর সময় তাদের কিছুই বলেনি। এমনকি হামলা এবং অগি্নসংযোগের পর ক্যাম্পের মধ্যে পুলিশ গুলি চালিয়েছে। এ কারণে ক্যাম্পের অধিবাসীরা আগুন নেভাতে পারেনি। তিনি আরও বলেন, আমাদের লোকগুলোকে তারা হত্যা করল আবার এই অভিযোগে আমাদের লোককেই রিমান্ডে নিলো। এটা কোন বিচার হতে পারে না। অথচ মূল অপরাধীরা ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমাদের হুমকি দিচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে কোন ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। গতকাল সরেজমিনে বিহারিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারা এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। এখন আর পুলিশের ওপর ভরসা করতে পারছে না। কুর্মিটোলা ক্যাম্পের প্রচার সম্পাদক হাসান বলেন, ইলিয়াস মোল্লার নির্দেশেই পুলিশের সহায়তায় যুবলীগ কর্মীরা এই নৃশংস হামলা চালিয়েছে। এখন যেকোন সময় আমাদের ওপর পুলিশি নির্যাতন হতে পারে। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।

ক্যাম্পের বাসিন্দা সোহরাব বলেন, বিহারি ক্যাম্পের পাশে টিনশেড বস্তিতে এখন চার শতাধিক পরিবার বসবাস করছে। তাদের বস্তিতে বিদ্যুৎ সংযোগের বিষয়ে কিছুদিন আগে জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে জরিপ চালানো হয়। ওই জরিপের পর বিদ্যুৎ অফিস থেকে বলা হয়, এখন যে পরিমাণ লোড আছে তাতে বিহারি ক্যাম্পে বিদ্যুৎ থাকবে। কিন্তু টিনশেড বস্তিতে বিদ্যুতের সংযোগ দেয়া সম্ভব নয়। এরপরও বিহারি ক্যাম্প থেকে বিদ্যুৎ চায় গ্রুপটি। আর এতে বাধা দেয়ায় পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটানো হয়। প্রত্যক্ষদর্শী জব্বার চৌধুরী জানান, দেশ স্বাধীন থেকে এ পর্যন্ত এমন হামলা ও ভাঙচুর, অগি্নসংযোগসহ মারামারি দেখিনি। প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকাজুড়ে এই সংঘর্ষ হয়। ধোঁয়ায় পুরো এলাকা কালো দেখাচ্ছিল। মনে হচ্ছিল যেন যুদ্ধ চলছে।

বিহারিদের চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমেদ বলেন, বিহারিদের জন্য বরাদ্দকৃত জমি অবৈধভাবে দখলের চেষ্টা ও বিদ্যুতের ট্রান্সমিটার থেকে বস্তিবাসীদের বিদ্যুৎ সংযোগে বাধা দেয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে একটি বিশেষ মহলের প্রত্যক্ষ মদতে মর্মান্তিক এ ঘটনা ঘটেছে। তিনি বলেন, প্রতি বছরই একসঙ্গে বাঙালি ও অবাঙালি শবেবরাত উদযাপন করেন কিন্তু কখনো আতশবাজি ফোটানো বা অন্য কোন ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিরোধ বাধেনি। তিনি বলেন, একটি দুটি নয়, দশটি ঘরে আগুন দিলেও দশজন মানুষ পুড়ে মরার কথা নয়। তিনটি পরিবারের তিনটি ঘরে তালাবব্ধ করে পরিকল্পিতভাবে এই ঘটনা ঘটায় বিশেষ মহলটি। বিহারিদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করার জন্য বিশেষ মহলটি পরিকল্পিতভাবে আতশবাজি ফোটানোর ঘটনা সাজায়।

বিহারি ক্যাম্প ঘিরে গতকালও সতর্ক অবস্থান ছিল পুলিশের। সাঁজোয়া যানও তৈরি ছিল। বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে একটি নির্দিষ্ট স্থানের বাইরে যেতে দেননি বিহারিদের। দুপুরের দিকে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) এবং ডিবি পুলিশের ২টি দল ঘটনাস্থল থেকে বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করে। সিআইডির পরিদর্শক প্রশান্ত কুমার দেবনাথ বলেন, আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এদিকে মিরপুর ১১ নম্বরে বিহারিদের সঙ্গে পরিবহন শ্রমিকদের সংঘর্ষ হয়েছে। গতকাল বেলা পৌনে দুইটা থেকে সোয়া দুইটা পর্যন্ত দুই পক্ষের মধ্যে থেমে থেমে সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় হতাহতের কোন তথ্য প্রাথমিকভাবে পাওয়া যায়নি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আগুন-গুলিতে ১০ জন নিহত হওয়ার প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে বিহারি ক্যাম্পের প্রায় ১০০ বাসিন্দা গতকাল বেলা পৌনে দুইটার দিকে মিরপুর ১১ নম্বরে আসেন। তারা সড়কে চলন্ত গাড়ি ও পার্ক করে রাখা ট্রাক-কাভার্ডভ্যান ভাঙচুর করতে থাকেন। একপর্যায়ে পরিবহন শ্রমিকরা একজোট হয়ে লাঠিসোঁটা নিয়ে বিহারিদের ধাওয়া করেন। এরপর দুই পক্ষে থেমে থেমে সংঘর্ষ চলে। উভয় পক্ষ পরস্পরের দিকে ইটপাটকেল ছুুড়তে থাকে। পরে ধাওয়ার মুখে বিহারিরা চলে যান।

গত ১৫ জুন রোববার রাতে মামলা ৬টির তদন্তভার মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়। বর্তমানে মামলাটি ডিবি পশ্চিম পরিচালনা করছে। ডিবি পশ্চিমের সিনিয়ার এসি তৌহিদুল ইসলাম সংবাদকে বলেন, প্রতিদিনই এই এলাকায় অভিযান চলছে এবং হামলাকারীদের ধরতে বিভিন্ন তথ্য ও তালিকা সংগ্রহ শুরু করা হয়েছে। পল্লবী থানার এসআই মনিরা আক্তার জানান, পল্লবী থানায় হত্যা, ভাঙচুর, অগি্নসংযোগ, লুটপাটের অভিযোগে ছয়টি মামলা করা হয়। শনিবার রাত সোয়া ১২টায় পুলিশের দায়ের করা হত্যা মামলায় (যার নম্বর ৩২) অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করা হয়। এসআই মমিনুর রহমান বাদী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেন।



0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন